লতিফ মিয়ার দাদীর উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার কারণে লতিফ তার উঠোন থেকে একটি ভেষজ উদ্ভিদের পাতা ছিঁড়ে এনে তা পেস্ট করে দাদীকে খেতে দিলেন। এতে তার দাদী আরোগ্য লাভ করলেন।
করিম মিয়া তার ক্ষেতে কুল গাছ লাগাল। কুল গাছের মাঝে মাঝে আদা গাছ বুনল।
ইফতিদের বাড়িতে একটি পুকুর রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হয়।
হেলাল মজিদ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। মানিক মিয়ার পালিত গরুটি কয়েকদিন ধরে দুধ কম দেওয়ায় হেলাল মজিদকে তার সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করলেন।
শান্তিপুর গ্রামে কৃষকদের তথ্য প্রদানের জন্য মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ও বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হয়।
গৌড়ীহার গ্রামের জাহিদুল নামের একজন কৃষক AFC-এর অধীনে বিজ্ঞানসম্মতভাবে হাঁস-মুরগি, গাভি ও ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ নেন। এতে তার আয় পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পায়।
রমিজ মিয়ার একমাত্র পুত্র সেলিম এবার এইচএসসি পাস করেছে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। টিভিতে সেলিম একটি অনুষ্ঠান দেখে কৃষি বিষয় নিয়ে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করছে। এজন্য সেলিম ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
আরমান এইচএসসি পাস করার পর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। সে পরে জানতে পারল যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শুকুর আলী প্রতিবেশী কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনাম শুনেছেন। এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করবেন। তাই তিনি নিজে এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বীজ সংগ্রহ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা পেতে চান।
আসাদ ইসলাম দেশের একটি স্বনামধন্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য যোগদান করেছেন। তিনি যে গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগ দিয়েছেন সে ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত পণ্য উৎপাদন করে বাংলাদেশ পৃথিবীতে চতুর্থ স্থান দখল করে আছে।
নরেশ বাজারে গিয়ে জানতে পারল যে সার কিনতে হলে অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তাকে দোকানদার বলল বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান সরকারের সাথে সমন্বিতভাবে সার আমদানি করে।
রানা গাজীপুরে অবস্থিত একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। সে তার বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করল।
মসিউল হক ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত গাজীপুরে অবস্থিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। তিনি ধানের কয়েকটি উচ্চফলনশীল জাত আবিষ্কার করেছেন যা দেশব্যাপি প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় সমন্বয় সাধনের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ করার জন্য একটি গর্ভনিং বোর্ড রয়েছে।
কৃষি শিক্ষক ক্লাসে কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্র আলোচনা করছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি ক্ষেত্র নিয়ে বেশি সময় আলোচনা করেন। ক্ষেত্রগুলো সকল মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা পূরণ করে।
মফিজ সাহেব স্থানীয় কৃষি কমকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ির আশেপাশে এক ধরনের ফসল চাষ করেন। যা থেকে তিনি বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করতে পারেন।
কৃষিবিদ হারুন সাহেব তার গ্রামের কৃষকদের চাহিদা ও সমস্যা নিরূপণের পাশাপাশি সমাধানের জন্য একটি সভার আয়োজন করলেন।
রহিমা টিভিতে "হৃদয়ে মাটি ও মানুষ" অনুষ্ঠানে পোল্ট্রি পালনের ওপর প্রতিবেদন দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বল্প পরিসরে পোল্ট্রি খামার স্থাপন করেন। প্রথমত এ কাজে বড় ভাই তাকে সাহায্য করেন। দুই বছর পর খামারের পরিসর বৃদ্ধি পায়। তখন এ খামারে টাকার বিনিময়ে কিছু লোক কাজ করার সুযোগ পায়।
ওহি গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যায়। সেখানে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের অন্যতম প্রধান অংশ হিসেবে ধান উৎপাদন সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মাটিতে কম-বেশি সকল ফসলই ফলে। তবে সব অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য এক রকম না হওয়ায় কোনো অঞ্চলে গম ভালো হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থা গণমাধ্যমের সাহায্যে কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তিসমূহ গ্রামীণ পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। সংস্থাটি ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকাশনাও বের করেছে।
কামাল সপ্তাহে একদিন সন্ধ্যার পর বাড়ির উঠোনে তার পাড়ার কৃষকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাকীবা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের কৃষি বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান দেখে। অনুষ্ঠানটি সপ্তাহে ৬ দিন প্রচারিত হচ্ছে। কৃষক, সরকারি কর্মকর্তা ও গবেষক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিস্তারে এ অনুষ্ঠানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সাজ্জাদ সাহেব তার জমিতে মাষকলাই, মুগ কলাই, ধৈঞ্চা গাছের চাষ করেছেন।
বিজয়ের জমিতে ফসলের কাঙ্ক্ষিত ফলন হয় না। সে তার জমির মাটি পরীক্ষা করে দেখল যে অম্লমান ৮। পরবর্তীতে সে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে উক্ত জমিতে ফসল উৎপাদনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সফল হয়।
গাছ মাটি হতে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। গফুর তার জমিতে পুষ্টি উপাদানের অপ্রাপ্যতার কারণে মাটি সংশোধনের উদ্যোগ নিল।
ফরহাদের গ্রামের এলাকার মাটি খুব শক্ত তবে একটু বৃষ্টি হলেই কাদা হয়। তাই তারা শীতকালীন সবজি উৎপাদন ভালোভাবে করতে পারে না।
রাজ্জাক তার এঁটেল মাটির জমিকে দোআঁশ ভাবাপন্ন করতে চায়। এজন্য একজন মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করলে তিনি বলেন এক প্রকার সার প্রয়োগের কথা যা মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়ায় এবং মাটির দানা বন্ধন বাড়িয়ে জমিকে দোআঁশ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে।
জয়ন্ত চ্যাটার্জীর চাষের জমি এঁটেল মাটির। তিনি তার জমিতে ৩-৪ দিন আগে ধানের বীজ বপন করেছেন। কিন্তু গত ২-৩ দিনই মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় তার জমির মাটি ধুয়ে গেছে এবং বপন করা বীজও নষ্ট হয়ে গেছে।
রতনের বাড়ি রাঙামাটি জেলায়। জুম চাষের ফলে তার এলাকার মাটি সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা তাকে বেশ কিছু কার্যকরী উপায় জানাল।
জলিল মিয়া তার নদীর ধারের ঢালু জমিতে কয়েক বছর ধরে আলু চাষ করে আসছিলেন। প্রথম দিকে ভালো ফলন হলেও ক্রমান্বয়ে ফলন কমে আসছিল। কৃষি কর্মকর্তাকে তার সমস্যাটির কথা জানালে তিনি তাকে ভূমি সংরক্ষণের পাশাপাশি আরো কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেন।
মাহমুদ আকতার তার জমিতে সবসময়ই রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকে। ইদানিং তার জমির ফসলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার জমি পরিদর্শন করে তাকে বিশেষ একধরনের শস্য চাষ করে সবুজ অবস্থায় মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন। সে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বেশ উপকৃত হয়।
শহীদুল্লাহ তার জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী কৃত্রিমভাবে পানি সরবরাহ করে। সরবরাহের পর সে হিসাব করে দেখল যে তার দেওয়া পানির মোটামুটি ৪০-৪৫ ভাগ অপচয় হলো।
আমাদের দেশে বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ৩০০০-৫০০০ লিটার পানি দরকার হয় যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। এ অপচয় কমানোর জন্য একটি পদ্ধতি বেশ উপযোগী। এই পদ্ধতিতে জমিতে দাঁড়ানো পানি রাখার প্রয়োজন নেই। একটি পর্যবেক্ষণ নল দ্বারা জমিতে সেচের সময় নির্ধারণ করা হয়।
মোশাররফ সাহেবের জমিতে ভূ-পৃষ্ঠস্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থায় তেমন সুবিধা পাচ্ছিলেন না। তাই তিনি তার জমির অতিরিক্ত পানি নিকাশের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের নিচে টাইল ড্রেনের ব্যবস্থা করলেন। এ ড্রেনে যে পাইপ ব্যবহার করলেন তার গায়ে ক্ষুদ্র পাথর কণা, বালি ও মাটি দিয়ে ফিল্টার তৈরি করলেন।
রবিন তার দাদুর সাথে ফসলের মাঠ পরিদর্শনে যায়। সে দেখতে পেল অধিকাংশ গাছ নেতিয়ে পড়েছে। নিকটস্থ খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ দিতে পারছেন না বলে জানালে রবিন তার দাদুকে ভবিষ্যতে এই সংকট নিরসনের কিছু উপায় জানালো।
রফিক তার জমিতে বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে। এছাড়া সে জমিতে লিগিউম জাতীয় ফসল চাষ করে। এরপরও জমিতে সে আশানুরূপ ফলন পায় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসআরআই পদ্ধতির ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের জ্ঞান দিয়ে অনেকেই এসআরআই পদ্ধতিতে চাষ করে দেখেন- বীজ কম লেগেছে, ধানের উৎপাদন খরচ কমেছে ও ফলন বেশি হয়েছে।
রহমান সাহেব তার মাটি পরীক্ষা করে দেখেন যে, তার জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ এবং নাইট্রোজেনের সরবরাহ কমে গেছে। এজন্য কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে তিনি রহমান সাহেবকে খুঁটি (শিদ্ধি) জাতীয় গাছকে সতেজ অবস্থায় মাটিতে মেশানোর পরামর্শ দেন।
মাটির বুনট রূপান্তরে ও উর্বরতা বৃদ্ধিতে কেঁচো সার ব্যবহার করা হয়। মাটির পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধিতে এ সার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুকবুলের এলাকায় বিগত কয়েক বছর অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে তার জমির মাটি এক স্থান হতে অন্য স্থানে সরে যায়। যার ফলে তিনি চলতি বছর ভালো ফসল পাননি।
মফিজ মিয়ার জমি অনেক দিন ধরে উন্মুক্ত থাকার ফলে বৃষ্টি, রৌদ্র, বাতাসের কারণে উর্বরাশক্তি হ্রাস পেয়ে ফলন কমে যাচ্ছে। স্থানীয় অভিজ্ঞ কৃষক বেলাল তাকে উক্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য এক ধরনের ফসল চাষের পরামর্শ দেন।
রাসেল তার জমিতে অতিরিক্ত কর্ষণ ও চাষের ফলে চলতি বছর ভালো ফলন পায় নি। এজন্য রাসেল কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে তিনি বলেন, ফসল উৎপাদনের জন্য চাহিদাকৃত পুষ্টি উপাদান মাটিতে থাকা প্রয়োজন। এজন্য কৃষি কর্মকর্তা রাসেলকে কিছু পরামর্শ দেন।
পাবনা সদর উপজেলার নয়া কৃষক নজরুল ইসলাম খরিপ-১ মৌসুমে পাটবীজ বোনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কোনো বৃষ্টিপাতের লক্ষণ না থাকায় বাধ্য হয়ে সে জমিতে সেচ দেয়। এ পরিস্থিতিতে তাকে আরও ১৫-২০ দিন চাষের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এতে তার মনে পাট চাষে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়।
আলাউদ্দীনকে ব্যবহারিক ক্লাসে নমুনা মাটি-১ দেওয়া হলো, সে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেখল- মাটি খসখসে, কণা স্থূলাকৃতির এবং হাতে নিলে আঙুলে দাগ লাগেনা। লোকমানকে নমুনা মাটি-২ দেওয়া হলো। সে দেখল এ মাটির আর্দ্র দলা দ্বারা যে কোনো আকৃতির দ্রব্য তৈরি করা যায় এবং আঙুলে দাগ লেগে থাকে।
চাষি কামাল মিয়া সবসময় সচেতনভাবে জমিতে সেচ দিয়ে থাকেন। তিনি জমির চারপাশে আইল বেঁধে প্রধান নালার সাহায্যে পানি জমিতে ছড়িয়ে দেন। তাছাড়া তিনি ছিটিয়ে বোনা ফসল এবং যেসব জমি মোটামুটি সমতল সেসব জমিতে এ ধরনের সেচ দিয়ে থাকেন।
সাহাবুদ্দিন তার জমিতে ফসল উৎপাদন করার পূর্বে মাটি পরীক্ষা করলেন। পরীক্ষা করে জানতে পারলেন যে মাটিটি ক্ষারীয়। এজন্য সে জমিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন।
জনাব ব্লুবেল তার জমির মাটি পরীক্ষা করতে স্থানীয় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে যান। পরীক্ষার পর সেখানকার কর্মকর্তা জানালেন তার মাটির নমুনায় শতকরা ৩৫ ভাগের বেশি কর্দমকণা রয়েছে। কর্মকর্তা জানান মাটি পরীক্ষার দ্বারা ফসল উৎপাদন বিষয়ক আরও কিছু তথ্য জানা যায়।
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আবুল কাসেমের জমির উপরিভাগ হতে মাটির কণা ধুয়ে যায়। এর ফলে জমির স্থানে স্থানে নালার মতো সৃষ্টি হয় এবং ফসল চাষাবাদে বেশকিছু অসুবিধা দেখা দেয়।
বিভিন্ন ফসলের ন্যূনতম পানির চাহিদা ও সময় নির্ধারণ বিষয়ে কৃষক সাদেকের কোনো ধারণা ছিল না। সম্প্রতি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সাদেক এ বিষয়ে প্রাথমিক কিছু ধারণা লাভ করছে। উল্লেখ্য, সাদেক প্রতিবছর গমও চাষ করে।
রফিক তার জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য মাটি কাদাময় করে চাষ করল। সে জানত যে জমি ভালোভাবে চাষ করলে বীজ গজানোর হার বেশি হবে।
শামীম পেঁয়াজ ও সরিষার বীজ উৎপাদনের জন্য পরামর্শ নেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নিকট যান। কৃষি কর্মকর্তা তাকে বীজ শোধন এবং কিছু আন্তঃপরিচর্যার পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক চাষ করে শামীম সফল হন।
হাবিব তাদের জমিতে আলুর চাষ করল, কিন্তু কিছুদিন পর সে লক্ষ করল তাদের জমির কিছু গাছের গোড়া থেকে কাটা এবং রোগের আক্রমণ হয়েছে।
সরিষার জমিতে পানি সেচ পরিমাণমতো হলে ফলন ভালো হয়। পাশাপাশি রোগ দমন করা অত্যন্ত জরুরি।
মনির তার পরবর্তী বছরে ধানের জমির বীজ সংরক্ষণ করবে। এজন্য সে তার সংরক্ষণের পাত্রে নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
শিক্ষক ছাত্রদের মধ্যে ১৫ গ্রাম ধানের বীজ সরবরাহ করেন। ছাত্ররা বাছাইয়ের পর বিশুদ্ধ বীজের পরিমাণ পেল ১৪ গ্রাম।
সারা বিশ্বে যে পরিমাণ সার প্রয়োজন তা উৎপাদন, পরিবহন, বিতরণ, পরিবেশ দূষণ, কাঁচামালের অভাব ইত্যাদির কারণে হ্রাস পাচ্ছে।
সাধারন কম্পোস্ট তৈরিতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগে। কিন্তু মোকাররম অণুজীব ব্যবহার করে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বিশেষ ধরনের পরিবেশবান্ধব কম্পোস্ট তৈরি করে।
আলিফ তার জমিতে রোগ দমনের জন্য বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহার করল।
ফসলের আশানুরূপ ফলন না পাওয়ায় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ছক্ক মিয়া তার জমির মাটি পরীক্ষা করে জানল যে, অম্লমান ৮.৫। পরবর্তীতে উক্ত কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তার জমিতে মসুরের বীজের সাথে একটি বিশেষ উপাদান মিশিয়ে চাষ করে বেশ লাভবান হয়।
রহিমা বীজতলায় শাকসবজির চারা উৎপাদন করেন। সম্প্রতি তার বীজতলায় সমস্যা দেখা দেয়ায় তিনি কৃষি কর্মকর্তার শরাণাপন্ন হলেন। কৃষি কর্মকর্তা বীজতলা দেখে বললেন, জমিতে ছত্রাকজনিত রোগ হয়েছে, মাটিও অনুর্বর। তিনি বিশেষ একটি পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিলেন।
পাট চাষি রহিম মিয়া পাট চাষ করে ১১৫ কেজি বাকল পেলেন। পানির অভাবে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবায় ইউরিয়া প্রয়োগ করে বাকলগুলো পচানোর ব্যবস্থা নিলেন। কিন্তু আঁশের গুণগত মান ভালো হলো না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করলে তিনি তাকে অল্প পানিতে সহজে পাটের বাকল পঁচানোর পরামর্শ দিলেন।
রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়ে কবির রেশম পোকা পালনের পরিচর্যা দেখতে পেল। সে এক জায়গায় দেখতে পেল কীড়ার মুখে লালা সৃষ্টি হচ্ছে।
অলকের মাশরুমের খামারে মাশরুমের ফুল কুঁচকে পচে গেছে। সে • এর প্রতিষেধক ব্যবস্থা নিল।
মনির তার বাবাকে রোগের জন্য মাশরুম খেতে বলল। সে বলল যে, মাশরুম খেলে ইনসুলিনের চাহিদা কমবে।
নতুন মৌমাছির খামার স্থাপন করার জন্য হাসিনা জায়গা এবং দিক ঠিক করল। চাক স্থাপনের পর সে রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগ দিল।
সাভারের খামারে চাষিরা উন্নত জাতের ষাঁড়ের অপ্রতুলতার কারণে কৃত্রিম প্রজননের সিদ্ধান্ত নিল। এজন্য তারা প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করল।
ভালো জাতের গরু উৎপাদনের জন্য পাঁচগাওয়ের কৃষকরা কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি গ্রহণ করলেন। কিন্তু সোহাগ এ পদ্ধতিতে সফল হতে পারেননি।
অলকের মাশরুমের খামারে মাশরুমের ফুল কুঁচকে পড়ে গেছে। সে এই রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিল।
রহিম মিয়া বারি পেঁয়াজ-২ জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজ চাষাবাদ করল। জমি থেকে বীজ সংগ্রহের পর দেখল অন্য জাতের পেঁয়াজের বীজের মিশ্রণ রয়েছে।
এক প্রকার ছত্রাক যেটির সাহাযয্যে দ্রুততার সাথে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে কম্পোস্ট তৈরি করা যায়। তিনি আরো বলেন, ছত্রাকটি উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পচা আবর্জনা ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
আকাশ কৃত্রিম প্রজননের জন্য সুস্থ ষাঁড় নির্বাচন করতে চায়। এজন্য স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিলে তিনি আকাশকে সুস্থ ষাঁড় নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলেন।
বিনার বিজ্ঞানীর পরামর্শে সাখাওয়াত অণুজীব ক্রয় করেন। সারটি প্রয়োগ করে সাখাওয়াত ফলন বেশি পেয়েছেন।
রনির বাড়ির পাশে তার একখণ্ড উঁচু জমি আছে। সে পরীক্ষা করে দেখল জমির মাটির কণার অনুপাত ২:১৪১, ফলে বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি আটকায় না। সে উক্ত জমিতে সরিষা বীজ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিল। এ লক্ষ্যে সে বাজার থেকে ১০ কেজি সরিষার বীজ ক্রয় করল। সে উক্ত বীজের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের জন্য ১ কেজি বীজ নিয়ে বাছাই করল। বাছাইয়ের পর দেখা গেল সেখানে কালিজিরার বীজ ০.২০ কেজি এবং পাথর ও মাটির কণা ০.১০ কেজি।
ইউনুস আলী এবার সর্বপ্রথম ট্রাইকোডারমা সার জমিতে ব্যবহার করেন। সারটি প্রয়োগে ইউনুস আলী সুফল পেয়েছেন।
চৈতি দাস পাশের বাড়ির সাবিহার মাশরুম চাষে সাফল্য দেখে ডিসেম্বর মাসে কিছু "মিল্কি মাশরুম"-এর স্পন প্যাকেটে কিনে এনে ঘরের এক কোনায় চাষ শুরু করলেন। কিছুদিন পর তার স্পন প্যাকেট নষ্ট হয়ে গেল, সামান্য কিছু স্পন থেকে মাশরুম বের হলো। এরপর তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষে সফলতা পেলেন। এতে গ্রামের অনেকে মাশরুম চাষে আগ্রহী হলেন।
নুরু মিয়া মৌচাষে আগ্রহী হয়ে তার বিশাল আম বাগানে মৌসুমের ফুল ধরার সময় মৌবাক্স স্থাপন করল। এ পদ্ধতিতে মৌচাষ করে সে একদিকে যেমন প্রচুর মধু পেল, অন্যদিকে আমেরও ভালো ফলন পেল।
ভালো গুণাগুণসম্পন্ন বীজ ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করলে অধিক ফসলের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবেন।
আনোয়ার তার নানাবাড়ি রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়ে রেশম পোকা পালনের পরিচর্যা দেখতে পেল। সে এক জায়গায় দেখতে পেল কীড়ার মুখে লালা সৃষ্টি হচ্ছে।
আমাদের দেশে একটি উপকারী ও সামাজিক পোকা আছে যা মানুষের অন্যতম বন্ধু। এ থেকে মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়।
জসিম মিয়ার গ্রামটি সমুদ্র উপকূলবর্তী। তিনি বিএডিসি থেকে কিছু ভালো বীজ এনে তার গ্রামে চাষাবাদ করার জন্য মনস্থির করলেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন তার গ্রামে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। আবহাওয়াবিদদের রিপোর্টের মাধ্যমে তিনি জানতে পারলেন যে, বায়ুচাপ হ্রাসের ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিজয়, প্রদীপ ও সুফী জাতের গম একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল জাত। উক্ত দুর্যোগ মোকাবেলায় জমিতে জাবড়া প্রয়োগ করা হয়।
সুজন তার জমিতে চাষের জন্য যে ধান নির্বাচন করে তার মূল খুব দৃঢ়, শাখা-প্রশাখাযুক্ত ও গভীরমূলী।
কুদ্দুস আলী রাজশাহী জেলার একটি ছোট্ট গ্রামের চাষি। ধান চাষ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। এবছর ধানের মৌসুমে ঐ গ্রামে প্রায় ২৫- ২৬ দিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই ধান চাষিরা বিপাকে পড়েছে।
২০০২, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে বাংলাদেশে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিয়েছিল। উক্ত দুর্যোগে গবাদিপশুর অনেক ক্ষতি হয়।
হানিফ মিয়া তার বসতবাড়ির পাশেই গবাদিপশু পালন করেন। বসতবাড়ির আশেপাশে তিনি কাঁঠাল, ইপিল-ইপিল, বাবলাসহ বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে রেখেছেন। এবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে তার গবাদি পশুর বৃদ্ধি ও দুধ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। তাই তিনি একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসকের কাছে গেলেন পরামর্শ নিতে। ভেটেরিনারি চিকিৎসক তাকে শুষ্ক খড়ের বিকল্প খাদ্য গবাদি পশুকে দিতে বললেন।
সফিকদের গ্রামে প্রতিবছর বন্যা হয়। বন্যায় সে তার খামারে মুরগি পালন করে।
ইদ্রিস আলী তার জমিতে দেশের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত ফসল উৎপাদন করেন। তিনি যত্নসহকারে জমি তৈরি করে ধাপে ধাপে চারা গাছের সঠিক পরিচর্যা করেন। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে তার উৎপাদিত ফসল মাটি থেকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা সহজেই গ্রহণ করতে পেরেছে।
সিদ্দিক আলী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি যে মৌসুমে লীজ নিয়ে জমি তৈরি করবেন ভেবেছিলেন সে মৌসুমে তাপমাত্রা অত্যধিক ছিল এবং বায়ুর আর্দ্রতাও বেশি ছিল। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কাও করেছিলেন তিনি। তাই তিনি ফসল লাগিয়ে মাঝারি ধরনের সেচ দিলেন।
আমেনা বেগম তার জমিতে সারা বছর ধান চাষ করতে চায়। এজন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণ করেন। কৃষি কর্মকর্তা তাকে আলোক অসংবেদনশীল ধানের জাত চাষ করতে বলেন।
আক্কাস আলী তার ২ বিঘা জমিতে রবি মৌসুমে কিছু সবজির চারা রোপণ করেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী চারাগুলোর যত্ন নেন। এতে সবজির ফলনও ভালো হয়।
কিসমত আলী তার জমিতে যে ফসলটি চাষ করেন সেই নির্বাচিত ফসলটির রোগের আক্রমণ বেশি হয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে। এমনকি যদি আরও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তবে ঐ ফসলটি আর চাষ করা সম্ভব হবে না। তাই কিসমত আলী আগামীবার এই ফসলটি উৎপাদনের আগে কিছু বিষয় লক্ষ করবেন বলে ঠিক করলেন।
নজরুল সারা বছর পুষ্পায়নে সক্ষম এমন ফসল চাষ করতে চায়। এজন্য কৃষি কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি নজরুলকে ভুট্টা, সূর্যমুখী, তুলা ইত্যাদি চাষের পরামর্শ দেন।
শরিফ শীতকালে তার জমিতে ব্রি ধান ২৮ চাষ করে। হঠাৎ করে তাপমাত্রা ১১০ সেলসিয়াস এর নিচে নেমে আসলে ধানে চিটা হয়ে ফলন ব্যাপক হ্রাস পায়।
তাহের মিয়ার বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। আমন মৌসুমে ধানের প্রাথমিক বৃদ্ধির পর্যায়ে ১০-১৫ দিন পানির নিচে থাকায় আশানুরূপ ফলন পায় নি। আবার পাহাড়ি ঢলে প্রায় সময়ই পাকা বোরো ধান তলিয়ে যায়।
হাশেম সাহেব বন্যার কারণে তার গবাদিপশু নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি তার পশুর জন্য বিকল্প খাদ্য ব্যবহার করলেন।
রাকিব তার ৫ হেক্টর জমিতে এক মৌসুমে আলু ও অন্য মৌসুমে পাট চাষ করল।
ফরহাদ একদিন তার বাবার সাথে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেল। পথে হঠাৎ করে তারা শিলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত হলো। তার বাবা তাকে বলল যে, এটি কালবৈশাখী ঝড়।
চাষের উদ্দেশ্যে মাসুম কিছু ফসল নির্বাচন করল। এগুলোর শারীরিক বৃদ্ধি ও ফুল-ফল উৎপাদনের পুরো বা অধিক সময় খুব বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা কম থাকে। তবে বন্যার আশঙ্কা বেশি থাকে।
জুনে কয়েক দিন যাবৎ প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আসিফ সাহেব টেলিভিশনে আবহাওয়ার খবর দেখছেন। খবরে সকাল বিকালের এবং জুন মাসে গত কয়েক বছরের তাপমাত্রার তালিকা দেখাল।
রহিজের এলাকায় প্রচণ্ড গরমের সময় ৪ দিন বিদ্যুৎ ছিল না। রহিজের মুরগির খামারে হঠাৎ ডিম উৎপাদন কমে গেছে।
নাদিম কিছু ফসল চাষ করে। কিন্তু তার গাছে কোনো ফুল আসে না। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিলে তিনি বলেন, কিছু উদ্ভিদ ক্রান্তীয় দিবা দৈর্ঘ্যের উপরে ফুল দেয়।
রফিক জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে কিছু ফসল উৎপাদন করতে চান। এজন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে তিনি রফিককে বলেন, এ মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। পানি সেচের প্রয়োজন হয় না।
বাংলাদেশের কৃষিকাজের সাফল্য প্রায় সম্পূর্ণভাবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে।
গফুর মিয়া সাতক্ষীরা জেলায় বাস করেন। জমির মাটির তারতম্যের জন্য তিনি একজন কৃষিবিদের সাথে আলোচনা করে জমিতে তুলা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
এপ্রিল মাসের শেষ দিকে জিম তার বাবার সাথে লঞ্চে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। নদীপথে প্রচণ্ড ঝড়-শিলাবৃষ্টি হল। এ সময় লঞ্চ চরে উঠে গিয়েছিল। জিমের এক প্রশ্নের জবাবে বাবা তাকে বলল এটি কালবৈশাখী।
লবু মিয়া পাট, গম, ভুট্টা, সরিষা এসব ফসলের মধ্যে একটি ফসল তার জমিতে চাষ করলেন। তার চাষকৃত ফসলের সর্বোত্তম ৩৩° সে. তাপমত্রার প্রয়োজন।
কৃষিশিক্ষা ক্লাসে মতিন স্যার এমন একটি মৌসুম নিয়ে আলোচনা করছিলেন, যে মৌসুমের সময়কাল ধরা হয় মধ্য মার্চ থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, এ মৌসুমে গরম পড়ে, মাঝারি বৃষ্টি হয় এবং বাতাসের আর্দ্রতা মাঝারি থাকে।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মাটিতে কম-বেশি সকল ফসলই ফলে। তবে সব অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য এরকম না হওয়ায় কোনো অঞ্চলে গম ভালো হয়।
আব্বাস ফসল চাষের জন্য এমন একটি মৌসুম বেছে নিলেন যখন বৃষ্টিপাত কম হয়, তাপ কম থাকে, দিনের চেয়ে রাত বড় বা সমান থাকে। এ সময় ফসল চাষে সেচ দিতে হয়।
শহুরে বড় হওয়া ছেলে আঃ আহাদ একদিন তার বাবার সাথে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। পথে হঠাৎ করে তারা শিলাবৃষ্টিতে পড়ে। বাবা ছেলেকে বলেন, এটি কালবৈশাখী ঝড় এবং এ সময়ের মৌসুমের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
গ্রীষ্মের ছুটিতে শশী তার বান্ধবী তাহমিনাদের বাড়ি বেড়াতে গেল। তাহমিনাদের বাড়ি থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দূরত্ব মাত্র ১০ কি.মি.। তারা সবাই মিলে সেখানে বেড়াতে গিয়ে খুবই আনন্দ উল্লাস করেছে।
হাফিজ তার জমিতে ধান চাষ করার সিদ্ধান্ত নিল। এজন্য সে ধান চাষের আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলো।
শাহীন চিন্তা করল মার্চ মাসে তার ৫ শতক জমিতে ধান চাষ করবে। এজন্য সে প্রয়োজনীয় জাত নির্বাচন করল এবং জমি প্রস্তুত করল।
অমিত দেখতে পেল তাদের এলাকার ধানের জমিতে সকল গাছের কান্ড ছিদ্র হয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিল।
শিমুলের ধানের জমিতে পাতা ঝলসে গেছে। সে তার কৃষিশিক্ষা বই পড়ে জানতে পারল যে, রোগের আক্রমণে এমন হয়েছে। সে এর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
মানিক একজন ধান চাষি। সম্প্রতি সে লক্ষ করে যে, তার ধান গাছের বাড়তি কমে গেছে এবং কুশির সংখ্যাও কম। কচি পাতার লম্বালম্বি শিরা বরাবর হালকা সবুজ ও হালকা হলদে রেখা দেখা যায়।
মাসুদ তার ১০০ শতক ধান জমিতে আমন ধানের স্থানীয় জাত চাষ করার জন্য জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ করল। পরবর্তীতে সঠিক নিয়মানুযায়ী চারা রোপণ করল।
ধান চাষের একটি পর্যায়ে ধান পূর্ণ গর্ভাবস্থায় থাকে। এ পর্যায়ে পানি দাঁড়ানো অবস্থায় রাখা নিশ্চিত করতে হয়।
বোরো ধান চাষ করার জন্য কৃষক জমির আলী কাঁচা নালা কাটলেন। ৩০ স্থানীয় কলেজ শিক্ষক তাকে কাঁচা নালার পরিবর্তে যে নালা তৈরি করতে বললেন তাতে ২৫% পানির অপচয় কম হয়।
কলেজের কৃষি শিক্ষক সকল ছাত্রদের একটি ধানের জমিতে নিয়ে ড্রাম সিডার দিয়ে বীজ বপন পদ্ধতি দেখালেন। তিনি তাদেরকে এ যন্ত্র দিয়ে বীজ বপনের পদ্ধতিটি বোঝালেন।
কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আলীম পাতার রং মেপে ইউরিয়া সার দেওয়া সম্পর্কে জানতে পারল। সে গ্রামে এসে সকল কৃষককে এর সুবিধা সম্পর্কে জানাল।
ইদু মিয়া তার জমিতে কয়েক বার বোরো ধান চাষ করে ভালো ফলন না পেয়ে ঐ জমিতে পরপর দুবছর ডাল জাতীয় ফসল চাষ করেন। পরবর্তী বছর তিনি ধানের ভালো ফলন পান।
মাংসের ন্যায় ডালে অধিক পরিমাণ আমিষ থাকে অথচ মাংস অপেক্ষা ডালের দাম কম। তাই ডালকে গরিবের মাংস বলে।
জসিমের মসুর গাছের সকল পাতা পোকা খেয়ে শুধু শিরার অংশটুকু রেখে দিয়েছে। সে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
কবির ডাল চাষের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখে বিনামসুর-৫ চাষে আগ্রহী হন।
নয়ন তার জমিতে ২ কেজি মুগ ডাল রোপণ করল। কিন্তু কিছুদিন পর তার জমির অধিকাংশ পাতা হলুদ রং ধারণ করল।
হাবিব মিয়া মুগ ডালের চাষ করেন। একদিন হঠাৎ তিনি তার মুগ ক্ষেতে বিছা পোকার উপস্থিতি দেখতে পেলেন। ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তিনি ভয় পেলেন এবং পোকা দমনের উপায় খুঁজতে লাগলেন।
শ্রীপুর উপজেলার কৃষি কমকর্তা আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আখের বিভিন্ন জাত সম্পর্কে বললেন। তিনি কাটিং সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
আকবর জমিতে আখের বীজ লাগানোর পরও কোনো চারা হলো না। সে মাটি খুড়ে দেখতে পেল চারা শুকিয়ে গেছে। সে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
সুমন তার কৃষিশিক্ষা বই হতে জানল তেল জাতীয় ফসল অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।
আলী আহম্মদ সূর্যমুখীর বীজ লাগানোর কয়েকদিন পরে গাছের গোড়ায় সাদা মাইসেলিয়াম দেখতে পেল।
তালিব প্রতি বছর তার জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। ফুল ফোটার সাথে সাথে তিনি ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপন করেন। এতে তিনি তেলের পাশাপাশি মধু এবং আরও বাড়তি সুবিধা পান।
সুলতান একদিন তার সয়াবিনের জমিতে গিয়ে গাছের গোড়ায় স্ক্লেরোসিয়াম দেখতে পেয়ে কৃষি কর্মকর্তায় নিকট পরামর্শ চায়। কৃষি কর্মকর্তা তাকে প্রয়োজনীয় বালাইনাশক প্রয়োগ করতে বলেন।
আফসার তার সয়াবিনের জমিতে গিয়ে লক্ষ করল চারা গাছ মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু পাতায় ও বোঁটায় ছিদ্র। সে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
জহির তার দাদীর কাছ থেকে জানতে পারলো বস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় আঁশের অধিকাংশ আসে আঁশজাতীয় ফসল হতে।
হাসিব তার জমিতে পাট চাষ করল। কিছুদিন পর সে দেখতে পেল পাতার আগা শুকিয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিকট হতে পরামর্শ নিল।
ইকবাল তার পাটের জমিতে গিয়ে দেখতে পেল সকল চারা গাছ ঢলে পড়েছে। পাশের বাড়ির জমির তাকে এ সমস্যার সমাধান জানালো।
হাবিব তার জমিতে পাট চাষ করল। কিছুদিন পর সে দেখতে পেল পাতার আগা শুকিয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিকট হতে পরামর্শ নিল।
রমিজ মিয়া তার তুলা ক্ষেতে গিয়ে দেখল বেশির ভাগ গাছের ডগা দুর্বল হয়ে গেছে। সে চিন্তিত হয়ে তার পরিচিত এক অভিজ্ঞ চাষিকে ব্যাপারটি বললো।
রানা তাদের বাড়িতে কুলের বাগান তৈরি করার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতি অবলম্বন করলো।
রতন এক কুলের বাগানে গিয়ে বাডিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করলো। সে দেখলো বাগানের মালিক কুঁড়ি সংযোজন করছে।
সোহাগ তার চাচার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেখল তার চাচা কুল গাছ রোপণ করছে। সে তার চাচার কার্যপদ্ধতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করল।
জয়নাল দেখলো তার পেয়ারা গাছের ফলগুলো দাগযুক্ত ও কুচকিয়ে গেছে। সে এতে চিন্তিত হয়ে তার বড় ভাইয়ের কাছে সাহায্য চাইলে বড় ভাই তাকে রোগ প্রতিরোধক ঔষধ দিতে বললো।
গত বছর অমলেশ এর পেয়ারা বাগানে ফলের গায়ে ছোট বড় কালো দাগ পড়ে। এতে পেয়ারার বাজার মূল্য কমে যায়।
আনন্দ কমলার বাগান করতে চাইলে তার দাদা তাকে কমলার চাষ পদ্ধতি বললেন। আনন্দ সে অনুসারে কমলার বাগান তৈরি করল।
আনন্দ কমলার বাগান করতে চাইলে তার দাদা তাকে কমলার চাষ পদ্ধতি বললেন। আনন্দ সে অনুসারে কমলার বাগান তৈরি করল।
অনিক তার পাঠ্যবইয়ের ডালিয়া চাষ পড়ে এটি চাষের আগ্রহবোধ করলো। সে তার বাবাকে ডালিয়া চাষের কথা জানাল।
জলিদের বাড়ির সামনে তার মা মরিচ, হলুদ ও আদা- গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিদিন তিনি সেগুলোর পরিচর্যা করেন।
নিলয় ২ হেক্টর জমিতে রসুন গাছ লাগানোর জন্য বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সার নিয়ে আসার সময় তার গ্রামের একজন অভিজ্ঞ রসুন চাষির কাছ থেকে জানতে পারলো এটি দুটি পদ্ধতিতে রোপণ করা যায়।
জমির মিয়া তার আদার ক্ষেতে গিয়ে দেখলো আদার কন্দে পচন ধরেছে। সে চিন্তিত হয়ে নিকটবর্তী কৃষি তথ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করল।
দুলাল একদিন ভোরবেলা তার ধানের জমিতে গিয়ে দেখতে পেল পাতায় ছোট ছোট বাদামি বর্ণের দাগ সৃষ্টি হয়েছে। সে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষেধক প্রয়োগ করল।
আখ কাটার উপযুক্ত সময় ও প্রক্রিয়া জানার জন্য সুমন স্থানীয় কৃষি অফিসে গেল। কৃষি কর্মকর্তা তাকে আখের রস মাপার যন্ত্র ও পরিক্বতার লক্ষণ সম্পর্কে জানাল।
রহিম তার পাটের জমিতে গিয়ে দেখতে পেল গাছের কান্ড কালো হয়ে আছে। সে আক্রান্ত স্থানে হাত দিয়ে ঘষলে কালো দাগ পড়ল।
কৃষক মোসলেম প্রতিবছর পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়। কিন্তু এ বছর সে পেঁয়াজ গাছের পাতা ও কাণ্ডে ছোট ছোট পানি ভেজা দাগ দেখতে পায়। দাগগুলো একত্রিত হয়ে খড়ের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে।
খলিল সাহেব তার জমিতে মুগ রোপণের কিছুদিন পর পাতার উপর সাদা পাউডারের মতো দেখতে পেলেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেন।
জাকির তার ধান ক্ষেতে গিয়ে দেখে কালো রঙের কাটাযুক্ত পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ঝাঁঝরা করেছে। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উপায়ে পোকা দমন করলেন।
হাফিজ তার জমিতে ধান চাষ করার সিদ্ধান্ত নিল। এজন্য সে ধান চাষের আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলো।
শাহীন চিন্তা করল মার্চ মাসে তার ৫ শতক জমিতে ধান চাষ করবে। এজন্য সে প্রয়োজনীয় জাত নির্বাচন করল এবং জমি প্রস্তুত করল।
অমিত দেখতে পেল তাদের এলাকার ধানের জমিতে সকল গাছের কান্ড ছিদ্র হয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিল।
শিমুলের ধানের জমিতে পাতা ঝলসে গেছে। সে তার কৃষিশিক্ষা বই পড়ে জানতে পারল যে, রোগের আক্রমণে এমন হয়েছে। সে এর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
মানিক একজন ধান চাষি। সম্প্রতি সে লক্ষ করে যে, তার ধান গাছের বাড়তি কমে গেছে এবং কুশির সংখ্যাও কম। কচি পাতার লম্বালম্বি শিরা বরাবর হালকা সবুজ ও হালকা হলদে রেখা দেখা যায়।
মাসুদ তার ১০০ শতক ধান জমিতে আমন ধানের স্থানীয় জাত চাষ করার জন্য জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ করল। পরবর্তীতে সঠিক নিয়মানুযায়ী চারা রোপণ করল।
ধান চাষের একটি পর্যায়ে ধান পূর্ণ গর্ভাবস্থায় থাকে। এ পর্যায়ে পানি দাঁড়ানো অবস্থায় রাখা নিশ্চিত করতে হয়।
কলেজের কৃষি শিক্ষক সকল ছাত্রদের একটি ধানের জমিতে নিয়ে ড্রাম সিডার দিয়ে বীজ বপন পদ্ধতি দেখালেন। তিনি তাদেরকে এ যন্ত্র দিয়ে বীজ বপনের পদ্ধতিটি বোেঝালেন।
কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আলীম পাতার রং মেপে ইউরিয়া সার দেওয়া সম্পর্কে জানতে পারল। সে গ্রামে এসে সকল কৃষককে এর সুবিধা সম্পর্কে জানাল।
ইদু মিয়া তার জমিতে কয়েক বার বোরো ধান চাষ করে ভালো ফলন না পেয়ে ঐ জমিতে পরপর দুবছর ডাল জাতীয় ফসল চাষ করেন। পরবর্তী বছর তিনি ধানের ভালো ফলন পান।
মাংসের ন্যায় ডালে অধিক পরিমাণ আমিষ থাকে অথচ মাংস অপেক্ষা ডালের দাম কম। তাই ডালকে গরিবের মাংস বলে।
জসিমের মসুর গাছের সকল পাতা পোকা খেয়ে শুধু শিরার অংশটুকু রেখে দিয়েছে। সে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
কবির ডাল চাষের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখে বিনামসুর-৫ চাষে আগ্রহী হন।
নয়ন তার জমিতে ২ কেজি মুগ ডাল রোপণ করল। কিন্তু কিছুদিন পর তার জমির অধিকাংশ পাতা হলুদ রং ধারণ করল।
হাবিব মিয়া মুগ ডালের চাষ করেন। একদিন হঠাৎ তিনি তার মুগ ক্ষেতে বিছা পোকার উপস্থিতি দেখতে পেলেন। ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তিনি ভয় পেলেন এবং পোকা দমনের উপায় খুঁজতে লাগলেন।
শ্রীপুর উপজেলার কৃষি কমকর্তা আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আখের বিভিন্ন জাত সম্পর্কে বললেন। তিনি কাটিং সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
আকবর জমিতে আখের বীজ লাগানোর পরও কোনো চারা হলো না। সে মাটি খুড়ে দেখতে পেল চারা শুকিয়ে গেছে। সে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
সুমন তার কৃষিশিক্ষা বই হতে জানল তেল জাতীয় ফসল অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।
আলী আহম্মদ সূর্যমুখীর বীজ লাগানোর কয়েকদিন পরে গাছের গোড়ায় সাদা মাইসেলিয়াম দেখতে পেল।
তালিব প্রতি বছর তার জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। ফুল ফোটার সাথে সাথে তিনি ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপন করেন। এতে তিনি তেলের পাশাপাশি মধু এবং আরও বাড়তি সুবিধা পান।
সুলতান একদিন তার সয়াবিনের জমিতে গিয়ে গাছের গোড়ায় স্ক্লেরোসিয়াম দেখতে পেয়ে কৃষি কর্মকর্তায় নিকট পরামর্শ চায়। কৃষি কর্মকর্তা তাকে প্রয়োজনীয় বালাইনাশক প্রয়োগ করতে বলেন।
আফসার তার সয়াবিনের জমিতে গিয়ে লক্ষ করল চারা গাছ মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু পাতায় ও বোঁটায় ছিদ্র। সে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
জহির তার দাদীর কাছ থেকে জানতে পারলো বস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় আঁশের অধিকাংশ আসে আঁশজাতীয় ফসল হতে।
হাসিব তার জমিতে পাট চাষ করল। কিছুদিন পর সে দেখতে পেল পাতার আগা শুকিয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিকট হতে পরামর্শ নিল।
ইকবাল তার পাটের জমিতে গিয়ে দেখতে পেল সকল চারা গাছ ঢলে পড়েছে। পাশের বাড়ির জমির তাকে এ সমস্যার সমাধান জানালো।
হাবিব তার জমিতে পাট চাষ করল। কিছুদিন পর সে দেখতে পেল পাতার আগা শুকিয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিকট হতে পরামর্শ নিল।
রমিজ মিয়া তার তুলা ক্ষেতে গিয়ে দেখল বেশির ভাগ গাছের ডগা দুর্বল হয়ে গেছে। সে চিন্তিত হয়ে তার পরিচিত এক অভিজ্ঞ চাষিকে ব্যাপারটি বললো।
রানা তাদের বাড়িতে কুলের বাগান তৈরি করার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতি অবলম্বন করলো।
রতন এক কুলের বাগানে গিয়ে বাডিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করলো। সে দেখলো বাগানের মালিক কুঁড়ি সংযোজন করছে।
সোহাগ তার চাচার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেখল তার চাচা কুল গাছ রোপণ করছে। সে তার চাচার কার্যপদ্ধতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করল।
জয়নাল দেখলো তার পেয়ারা গাছের ফলগুলো দাগযুক্ত ও কুচকিয়ে গেছে। সে এতে চিন্তিত হয়ে তার বড় ভাইয়ের কাছে সাহায্য চাইলে বড় ভাই তাকে রোগ প্রতিরোধক ঔষধ দিতে বললো।
আনন্দ কমলার বাগান করতে চাইলে তার দাদা তাকে কমলার চাষ পদ্ধতি বললেন। আনন্দ সে অনুসারে কমলার বাগান তৈরি করল।
আনন্দ কমলার বাগান করতে চাইলে তার দাদা তাকে কমলার চাষ পদ্ধতি বললেন। আনন্দ সে অনুসারে কমলার বাগান তৈরি করল।
অনিক তার পাঠ্যবইয়ের ডালিয়া চাষ পড়ে এটি চাষের আগ্রহবোধ করলো। সে তার বাবাকে ডালিয়া চাষের কথা জানাল।
জলিদের বাড়ির সামনে তার মা মরিচ, হলুদ ও আদা গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিদিন তিনি সেগুলোর পরিচর্যা করেন।
নিলয় ২ হেক্টর জমিতে রসুন গাছ লাগানোর জন্য বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সার নিয়ে আসার সময় তার গ্রামের একজন অভিজ্ঞ রসুন চাষির কাছ থেকে জানতে পারলো এটি দুটি পদ্ধতিতে রোপণ করা যায়।
জমির মিয়া তার আদার ক্ষেতে গিয়ে দেখলো আদার কন্দে পচন ধরেছে। সে চিন্তিত হয়ে নিকটবর্তী কৃষি তথ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করল।
দুলাল একদিন ভোরবেলা তার ধানের জমিতে গিয়ে দেখতে পেল পাতায় ছোট ছোট বাদামি বর্ণের দাগ সৃষ্টি হয়েছে। সে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষেধক প্রয়োগ করল।
আখ কাটার উপযুক্ত সময় ও প্রক্রিয়া জানার জন্য সুমন স্থানীয় কৃষি অফিসে গেল। কৃষি কর্মকর্তা তাকে আখের রস মাপার যন্ত্র ও পরিক্বতার লক্ষণ সম্পর্কে জানাল।
কৃষক মোসলেম প্রতিবছর পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়। কিন্তু এ বছর সে পেঁয়াজ গাছের পাতা ও কাণ্ডে ছোট ছোট পানি ভেজা দাগ দেখতে পায়। দাগগুলো একত্রিত হয়ে খড়ের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে।
খলিল সাহেব তার জমিতে মুগ রোপণের কিছুদিন পর পাতার উপর সাগ পাউডারের মতো দেখতে পেলেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেন।
জাকির তার ধান ক্ষেতে গিয়ে দেখে কালো রঙের কাটাযুক্ত পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ঝাঁঝরা করেছে। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উপায়ে পোকা দমন করলেন।
সন্তু বাজার থেকে একটি এবং সরকারি নার্সারি থেকে দুটি কমলার চারা ক্রয় করে বাড়ির সামনে রোপণ করেন। বাজার থেকে ক্রয় করা চারায় ফুল আসে ৪ বছর পরে। নার্সারি থেকে ক্রয় করা চারায় এক বছর পর থেকে ফুল ধরে।
রফিক ৫ বিঘা জমিতে গত দুই বছর যাবৎ আউশ ধান চাষ করে লাভবান হতে পারেনি। সে এ ব্যাপারে উদ্যান কর্মকর্তার শরণাপন্ন হলেন। কর্মকর্তা তাকে সারা বছর চাষ করার ও চাহিদা বেশি এমন ফুল চাষ করার পরামর্শ দেন।
রহিম ব্যস্ততার কারণে এপ্রিলে পাটের বীজ বপন করলেন। বীজ বপনের পরপরই প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হলো। তাপমাত্রা একটু কম গেল। পাটগাছ বড় হওয়ার আগই আগাম ফুল ফুটল। এতে পাটের ফলন কম হলো।
আসিফের ধানের জমিতে গাছের পাতা হলদে হয়ে আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। চারা নেতিয়ে পড়ে এবং চারার গোড়ায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে পুঁজের মতো বের হয়।
আসাদের মুগের জমিতে পাতার উপর ছোট সাদা হালকা পাউডারি দাগ পড়ে এবং তা আস্তে আস্তে ছাই রং ধারণ করে এবং গাঢ় বাদামি হয়।
আসিফ আখ চাষ করেন। কিন্তু চলতি বছর আখে একটি ছত্রাকজনিত রোগের কারণে আকান্ত গাছের কচি পাতাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং উপর হতে নিচের দিকে ৩য়/৪র্থ পাতা শুকায়ে যায়।
রফিক সাহেব তার ফুলের জমির জন্য রাসায়নিক সার ছাড়া ২৫ লি. পানিতে ৫০০ গ্রাম কাঁচা গোবর পচিয়ে সার তৈরি করেন। এ ফুলটি উর্বর দোআঁশ মাটির জন্য উপযোগী।
মোকাদ্দছ মিয়া দিনাজপুরে ঈশ্বরদী-৩৫ জাতের আখ চাষ করছিল এবং প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় প্রথমদিকে ভালোভাবেই গাছের বৃদ্ধি হচ্ছিল। ইদানীং দেখা গেল গাছের পাতার আগা থেকে কিনারা বরাবর শুকিয়ে যাচ্ছে। আখ ভেঙে দেখলেন আখের মজ্জা ফাঁপা এবং তন্তু লাল রংয়ের।
আকৰর প্রতি বছর তার জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করেন। ফুল ফোটার সাথে সাথে তিনি ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপন করেন। এতে তিনি তেলের পাশাপাশি কিছু বাড়তি সুবিধা পান।
সুজন আলী একজন পাট চাষি। তিনি এ বছর তার দুই খন্ড জমিতে সিসি ৪৫ ও ও-৯৮৯৭ জাতের পাটের চাষ করেন। তিনি সি সি-৪৫ জাতের পাট আষাঢ় মাসে ও ও-৯৮৯৭ জাতের পাট ভাদ্র মাসে কাটেন। তিনি প্রতি খণ্ড থেকে ২০০০টি করে আঁটি পান। পাট জাগ দেওয়ার সময় তিনি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে অতঃপর পাট জাগ দিয়েছেন।
শফিকুল এবার পেঁয়াজ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা তাকে জানালো পেঁয়াজ চাষে বীজ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই খরচ বেশি হলেও উফশী জাতের বীজই সে নির্বাচন করল। সে এখন চারা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ধানের একটি বিশেষ রোগ রয়েছে যার জন্য Ustilago virens নামক ছত্রাক দায়ী।
সুমন একজন সবজি ব্যবসায়ী। সে একদিন আগে দুপুর বেলা জমি থেকে টমেটো সংগ্রহ করে ঘরে গাদা করে রাখে। পরদিন সকালে যখন টমেটো বিক্রি করতে যাবে তখন দেখল বেশির ভাগ টমেটোর গায়ে সাদা আবরণ পড়েছে ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
সোবহানের এলাকায় আনারসের ফলন ভালো হলেও যথাযথ পরিবহন ব্যবস্থার কারণে ঐ এলাকার কৃষকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পল্লবী কম দাম পেয়ে বাজার থেকে অনেক মটর কিনল। বিক্রেতা তাকে মটর কিছুক্ষণ রোদে রাখার উপদেশ দেয় কিন্তু সে তা ভুলে যাওয়ার কারণে ১৫ দিন পর দেখে তার সব মটর নষ্ট হয়ে গেছে।
কাকলী এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিবে। গত আমের মৌসুমে হঠাৎ একদিন ঝড়ে তাদের আম বাগানের বেশ কিছু কাঁচা আম ঝড়ে পড়ায় তার বাবা-মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কাকলী তাদের আশ্বস্ত করে বলে যে, একটি আমও নষ্ট হতে দেবে না।
আম চাষি আলিমের ভুলের কারণে গত বছর দরজা, জানালা বন্ধ করা ঘরে সংরক্ষিত আম পচে যায়। এ বছর আম সংগ্রহের পর যথাযথ সংরক্ষণ করায় আম পচেনি।
আসিফ ফল ও শাকসবজির ব্যবসা করে। তার কিছু পণ্য বিক্রি হয় আর কিছু পণ্য বিক্রি হয় না। তার ক্রয়কৃত পণ্য সংগ্রহ করার পর বিক্রয় না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পণ্য অর্থাভাবে সংগ্রহ করা থেকে আটকে যায়। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়।
সাব্বির সাহেব বাজার থেকে কিছু ফল ও শাকসবজি কিনে আনলেন। কিছুদিন পরেই তিনি দেখলেন তার ফল ও শাকসবজি পচে গেছে।
শামছুল হক ঢাকার বাদামতলীর একজন ফল ব্যবসায়ী। তিনি দিনাজপুর থেকে হারিভাংগা আম ক্রয় করার পর দেখলেন এগুলোর আকার, আকৃতি ও প্রকৃতি ভিন্ন। সেহেতু, সে ফলগুলোর বাজারজাত করার আগেই বাছাই করল।
গ্রীষ্মকালে কামালদের বাগানে প্রচুর আম উৎপন্ন হয়। তার আম্মু প্রতিবছর আম দিয়ে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য তৈরি করেন এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য একটি উপাদান দেন।
মিতু বাজার থেকে কিছু কাঁচা আম কিনে আনল আচার তৈরি করার জন্য। এরপর আম কেটেই সে তেল ও ভিনেগারে সম্পৃক্ত করে আচার তৈরি করল কিন্তু কিছুদিন পরেই আচারে ছত্রাক পড়ে গেল।
নিশি তার বাসায় সকালের রান্নার পর দেখল তার অনেক সবজি রয়ে গেছে। সে অবশিষ্ট সবজিগুলো পরের দিনের জন্য সংরক্ষণ করল।
শশীদের পরিবারের সবারই টমেটোর সস খুবই প্রিয়। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে -তারা সস মিশিয়ে নেয়। এতে করে খাবার সুস্বাদু হয়।
Read more